Wednesday, November 21, 2012

আপন বাসগৃহ


দয়া করে, মনোযোগ দিয়ে শোন তুমি আমারই মত একজন হোমো সেপিয়েন্স, একজন বিজ্ঞ মানুষ।
জীবন নামের অলৌকিক ঘটনাটি মহাবিশ্বে এসেছিল ৪ বিলিয়ন বছর আগে কিন্তু আমরা মানুষের এসেছি মাএ ২০ হাজার বছর আগে। এখনও আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ন প্রয়োজনীয় জীবন যাপন করছি অন্যকিছু ধ্বংশের মাধ্যমে।

একটি অসাধারন গল্ল শুনুন যা আমাদের এবং সিদ্ধান্ত নাও তুমি কি করতে পার। গল্পটি আমাদের জীবনের অধ্যায়গুলো নিয়ে সাজানো।
পৃথিবীর প্রথমে  শুধু কিছু আগুনের স্ফুলিঙ্গই ছিল। একটি আদ্র ধুলিকনা যা অন্যান্য গ্রহের মতই, হাজির হয়েছিল এবং সেখানেই জন্ম হয় “অলৌকিক জীবনের”। আমাদের বর্তমানের জীবন একটি চেইনের সাথে যুক্ত যা আবার যুক্ত অন্যসব জীবনের সাথে। সেই সংযুক্ত জীবন চলে আসছে ৪ বিলিয়ন বছর ধরে। এবং এখনও নতুন আগ্নেয়গিরি স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে যায় আমাদের প্রিয় ভূমিতে। তারা সেই ভাবেই পৃথিবীকে আগলে রেখেছে যেভাবে রেখেছিল তার জন্মের সময়। সে এখন ধরে রেখেছে আমাদের পৃথিবীর সেই অতীত ধোয়াচ্ছন ঐতিহ্যকে। এই বায়ুমন্ডল ধরে রেখেছে অক্সিজেন, ঘন বায়ুমন্ডল যা আদ্র এবং কার্বন ডাই অক্সাইডে।
পৃথিবী ঠান্ডা হল। তার সাথে সাথে তৈরী হল জলীয় বাষ্পের বর্ষন যাকে আমরা বৃষ্টি বলি। পৃথিবী সূর্য থেকে সঠিক দুরুত্বে আছে, না বেশি কাছে না বেশি দূরে, যার ফলে পৃথিবী পানিকে গলিতো রাখতে সক্ষম হয়েছে। পানির স্রোত ধারা যা আমাদের শিরার মত ছড়িয়ে পড়ে  এই পৃথিবীতে। এই নদীগুলো শক্ত পাথর আর শীলা থেকে খনিজ নিয়ে জড়ো করতে থাকে সাগরের পরিষ্কার পানিতে। আর সাগর হতে থাকে লবনাক্ত থেকে লবনাক্ত।

তাহলে আমরা কোথা থেকে এসেছি?
কোথায় জীবনের প্রথম পদচারনা হয়?

সেই অলৌকিক সময়, আদিম জীবন যা উত্তপ্ত পৃথিবীতেই অস্থিত্ব ছিল। তারা তাদের জীবনে আভা ছড়িয়েছিল মাত্র। তাদের বলা হয় archeobacteria। তারা সকলেই পৃথিবীর তাপকে খাদ্য হিসিবে গ্রহন করতো। শুধু মাত্র cyanobacteria বা নীল-সবুজ এলজি বাদে। তারা একাই পেড়েছিল সূর্যের ছড়িয়ে পড়া শক্তিকে ধরতে। তারাই ছিল বর্তমানের জীব জগতের প্রাচীন জন্মদাতা। এই ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন বংশধরেরা আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতই পরিবর্তন করে ফেলে। তারা এর আবহাওয়াই পরিবর্তন করে ফেলে।

কি হয়েছিল সেই কার্বনের যা আমাদের বায়ুমন্ডলকে দূষিত করে রেখেছিল?

কার্বন এখন আছে, পৃথিবীর ভূত্বকে আবদ্ধ অবস্থায়। তখনও কোন একটি সাগরে micro-organisms এর আর্বিভাব হয়েছিল। তারা কার্বন কে বায়ুমন্ডল থেকে সরিয়ে জমাটবদ্ধ করতে থাকে। এবং সাগরে মিশ্রিত করতে থাকে। তাই স্থরে স্থরে সাজানো এই micro-organisms কে আমরা এখনও দেখতে পাই। ধন্যবাদ তাদেরকেই, তারাই কার্বনকে বায়ু থেকে সরিয়ে দিয়েছে যার ফলে অন্যান্য জীবন নিজেদের বিকাশ করতে পারে। আর এতে জীবনের উন্মেষ ঘটে বায়ুমন্ডলে। বৃক্ষ সূর্যে শক্তিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে যার মাধ্যমে সে পানিকে বিশ্লেষন করে অক্সিজন নিতে পারে। এবং সেই অক্সিজেনই বায়ুতে পরিপূন হয়। এই পৃথিবীর পানিচক্রটি চলমান একটি প্রক্রিয়া। জলপ্রপাত, জলীয় বাষ্প, মেঘ, বৃষ্টি, ঋতু, নদী, সাগর, মহাসাগর, হিমবাহ....কিন্তু পানিচক্রটি কখনও ভাঙ্গে নি। সব সময় পৃথিবীতে তাই পানির পরিমান সমান ছিল। পৃথিবীর সফল সব প্রজাতীই সেই একই পানি পান করে আসছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে পানিই হল সবচেয়ে অস্থির পদার্থ। এটিই গলিত থাকে নদীর পানির মত আবার গ্যস হিসেবে থাকে জলীয় বাষ্প হিসেব, আবার কঠিন হয়ে থাকে বরফের মত।
সাইবেরিয়াতে শীতের মধ্যে অনেক গুলো জমাটবদ্ধ হ্রদ পাওয়া যায় যাতে পানি চলমান থাকে বরফের মধ্যেও। ফলে জীবন ঠিকই গতিশীল থাকতে পারে। জীবন চালিকা শক্তি হল তার সংযুক্তি হওয়ার ক্ষমতা। সবকিছুই সংযুক্ত। কিছুই স্বয়ং সম্পূর্ন নয়।  পানি এবং বায়ু অবিচ্ছেদ্য, সংযুক্ত জীবনের সাথে এবং আমাদের জীবনের সাথে এই পৃথিবীর। শেয়ারিংই সবকিছু। সবুজ বৃক্ষ মাধ্যমে মেঘ যা অক্সিজেনের উৎস হিসেবে কাজ করছে বাতাসে। ৭০% অক্সিজেন যা ছাড়া আমাদের ফুসফুস কাজ করতে পারে না, তা আসে আলগি থেকে যা ছড়িয়ে আছে মহাসাগরের উপরের পৃষ্ঠ জুড়ে। আমাদের এই পৃথিবীতে আছে অসাধারন একট ভারসাম্য যাতে সবাই একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এবং তাদের অস্থিত্ব আছে অন্যদের অস্থিত্বের মাধ্যমে। একটি সুক্ষ অতি ভঙ্গুর ঐকতান যা সহজেই ভেঙ্গে ফেলা যায়। সেখানে কোরালগুলো জন্ম হয় আলজি এবং শেল এর বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে। এই কোরাল বা প্রবাল গুলো সারা সমুদ্রের ১% জুড়ে থাকে। কিন্তু তাদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করে হাজার রকমের মাছ,বিভিন্ন রকম প্রানী আর শেওলা গুলো। প্রতিটি সমুদ্রের সুস্থিতা তাদের উপরই নির্ভর করে।

No comments:

Post a Comment

Simple and Complete E-commerce PL/SQL Code

This is a Database of e-commerce solution. This database is quite simple but complete one.  The script (.sql file) contain all the nece...